পীরগঞ্জ, রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগঞ্জের ছাতুয়া দ্বিমূখী দাখিল মাদ্রাসা সুপার এ কে এম শহিদুল ইসলাম মাদ্রাসায় চাকুরি দেয়ার নাম করে প্রতারনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কয়েকটি পরিবারকে নিঃস্ব করে পথে বসিয়েছে, প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ভুক্ত ভোগিদের।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উক্ত মাদ্রাসা সুপার মাদ্রসা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ইসলাম ভিরু আরবি শিক্ষানুরাগী লোকদের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা, জমিদাতা, দাতা সদস্য, চাকরি প্রত্যাশি অসংখ্য পরিবারের কাছ থেকে বিনামুল্যে মাদ্রাসার নামে জমিসহ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। এলাকার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ নিয়ে ইচ্ছে থাকলেও মুখ খোলেনি অনেকে। অবার কেহ মূখ খুললেও তাদের মিথ্যা মাদকের মামলাসহ স্থানীয় বখাটেদের দিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয় উক্ত সুপার। সুপার কর্তৃক প্রতারিত কয়েক জনের মধ্যে ২জন ৬ নং টুকুরিয়া ইউনিয়নের আফজাল হোসেনের পুত্র হারুনুর রশিদ ও পুত্রবধু সুলতানা বেগম।
গত ২৮ জুন বিষয়টি সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানাযায়, উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম এর সহযোগিতায় হারুনুর রশিদকে পিয়ন এবং তার স্ত্রীকে আয়া পদে চাকুরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ২ এপ্রিল/২০ ইং তারিখে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলামের উপস্থিতিতে নগদ ৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করে সুপার। যা শেষ সম্বল আবাদি জমি বিক্রি করে প্রদান করে হারুন। চাকুরি হলে আরও ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে সুপারকে। কিন্তু উক্ত টাকা গ্রহনের পর আবার গত ১০ মে/২০ ইং তারিখে সুপার হারুনকে মাদ্রাসায় ডেকে জানিয়ে দেয় স্বামী স্ত্রীর চাকুরি নিতে মোট ১৬ লক্ষ টাকা গুনতে হবে তাদের, নইলে অন্য প্রাথীকে নেয়া হবে। যা হরুনুর রশিদের পক্ষে পুরন করা কখনোই সম্ভব হবেনা, বাধ্য হয়ে সে প্রদানকৃত ৪ লক্ষ টাকা ফেরত চান সুপারের নিকট। কিন্তু সুপার উক্ত টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলেও বর্তমানে তা অস্বীকার করছেন বলে জানায়, মনোয়ার হোসেন, হাজের উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, ইয়াছিন মিয়া, আজাহার মিয়া, আলম উদ্দিন সহ এলাকার প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি। চাকুরি প্রত্যাশায়ী হারুন, সুপারের প্রতারনায় ৪ লক্ষ টাকা খুইয়ে বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কোন উপায় না পেয়ে গত ৩ জুন/২০ ইং তারিখে পীরগঞ্জের সাংসদ মাননীয় স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, চেয়ারম্যান শিক্ষাবোর্ড, উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উ”চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার এ কে এম শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কোন টাকা গ্রহন করেনি আমার বিরোদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বানোয়াট। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনিও বিষয়টি অস্বীকার করে।
অপরদিকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা সত্য ইতি পুর্বেও আমি সুপারের বেশ কয়েকটি চাকুরি প্রত্যাশির লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের শালিশ করেছি এবং এখনো কয়েক জনের অভিযোগ রয়েছে।